নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটে সংবাদকর্মী অমিত দাস শিবু (৩৬) হত্যা মামলায় গ্রেফতার দুই আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় কুমিল্লা থেকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।
তিনি জানান, জবানবন্দি দেওয়া আসামিরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার কালিগচ্ছ (ধরণি) মৃত জামাল ভূঁইয়ার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার সুমি (২০) এবং সিলেট নগরীর সাগরদিঘীরপাড় এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে তাহমিদ আহমদ (২৬)। হত্যাকাণ্ডের পর সুমি তার বয়ফ্রেন্ড তাহমিদকে নিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন।
তাদের দেওয়া জবানবন্দিতে জানা যায়, অমিতের সঙ্গে সুমাইয়ার ফোনে যোগাযোগ ছিল এবং ঘটনার দিনও কয়েকবার কথা হয়। কথা বলার এক পর্যায়ে তারা একে অপরের সঙ্গে দেখা করতে চান। তবে অমিত বারবার ফোন করে ডিস্টার্ব করার কারণে সুমাইয়া তার ওপর বিরক্ত। বিষয়টি পাড়ার প্রভাবশালী বড়ভাই ফয়সালকে জানান সুমি। ফয়সাল সুমিকে বলেন অমিতকে ফোন করে হাজারীবাগ এলাকায় নিয়ে আসতে।
২৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে অমিত শাহী ঈদগাহ এলাকাস্থ মিনারগেটের নিচে সুমির সঙ্গে দেখা করেন। সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে হাজারীবাগ এলাকায় যান তারা। সেখানে আগে থেকে থাকা ফয়সাল ও তার ৪-৫ জন সাথীর সঙ্গে অমিতের কথা কাটাকাটি হয়। হাতাহাতির একপর্যায়ে ফয়সলসহ অন্যান্য আসামি অমিতের মোটরসাইকেলের হেলমেট দিয়ে তাকে আঘাত করে এবং এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। তখন সুমি তার বয়ফ্রেন্ড তাহমিদকে জানালে তিনিও দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মারামারিতে অংশ নেন।
একপর্যায়ে অমিত ঘটনাস্থলেউ মারা গেলে তার লাশ এয়ারপোর্ট থানাধীন হোসনাবাদ এলাকায় ফেলে চলে যান ফয়সাল, তাহমিদসহ অন্য ঘাতকরা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট থানায় পরিদর্শক (তদন্ত) দেবাংশু কুমার দে জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।
Leave a Reply